টানা এক মাস ১২ দিন পর বাসায় ফিরলেন তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।বিএনপি চেয়ারপার্সনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার বলেন, মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চিকিৎসা শেষে আজ বাসা ফিরেছেন।
কোটা আন্দোলন চলাকালীন গত ৮ জুলাই দিবাগত রাতে হঠাৎ শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বেগম খালেদা জিয়াকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। কয়েকদিনে অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। ১৩ তারিখের পর গিয়ে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হতে শুরু করে। গত ৫ আগস্ট গণঅভুত্থানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর ৬ আগস্ট মুক্তি পান বেগম খালেদা জিয়া। তবে মুক্তি পেলেও শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হাসপাতালে থাকতে হয় বেগম খালেদা জিয়াকে।
উল্লেখ্য, দুই মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া কারাবন্দি ছিলেন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রæয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদন্ড দেন বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। রায় ঘোষণার পর খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। এরপর ওই বছরের ৩০ অক্টোবর এ মামলায় আপিলে তার আরও পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট।
একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন একই আদালত। রায়ে সাত বছরের কারাদন্ড ছাড়াও খালেদা জিয়াকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেন।
২০২০ সালের মার্চে করোনা শুরু হলে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে নির্বাহী আদেশে দন্ড স্থগিত করে কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে সরকার শর্তসাপেক্ষে ২৫ মার্চ থেকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়। এরপর পরিবারের আবেদনে দন্ড স্থগিতের মেয়াদ বেড়েছে আটবার।
খালেদা জিয়াকে নিয়ে সিনেমা নয়: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ সিনেমা তৈরি থেকে বিরত থাকতে পরিচালক এমকে জামানকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। খালেদা জিয়া ও পরিবারের অনুমতি ছাড়াই এই সিনেমা নির্মাণ করা হচ্ছে দাবি করে গতকাল বুধবার জাতীয়তাবদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল নোটিশটি পাঠান।
দৈনিক বার্তা সরণি / একে/আরিফ