দীর্ঘ সময় কক্সবাজারে পর্যটক স্বল্পতা থাকার পর পর্যটক বৃদ্ধি পাওয়ায় পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মন্দা কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে। সমুদ্র সৈকতের শহর কক্সবাজারে বাড়ছে পর্যটক। বিশেষ করে, সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে ঢল নামছে পর্যটকদের। নোনাজলে উষ্ণতার খোঁজার পাশাপাশি কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে বার্মিজ পণ্য ও শামুক-ঝিনুকের দোকানগুলোতে। তবে সৈকতের প্রবেশদ্বারগুলোতে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং নিয়ে বিপাকে ভ্রমণপিপাসুরা।
সাগরের নীল জলরাশি, তার সামনে বিশাল বালুচর; সবখানে মানুষ আর মানুষ। হাল্কা শীতের সঙ্গে ভিন্ন রূপ ধারণ করেছে সাগর।
শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকায় সাগরপাড়ে কয়েকগুণে বেড়েছে মানুষের ভিড়। যারা উষ্ণতার খুঁজে নামছেন নোনাজলে। মেতেছেন সমুদ্রস্নান, ওয়াটার বাইকে ঘুরে বেড়ানো ও সেলফিতে।
চাঁদপুর থেকে আসা পর্যটক আব্দুল হামিদ বলেন, শীত মৌসুমে উষ্ণতার খুঁজে কক্সবাজার সৈকতে ছুটে আসা। এখানে পরিবার নিয়ে খুবই বেশি মজা করছি। আরেক পর্যটক রেহানা আক্তার বলেন, শীতকালে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত অনেক সুন্দর লাগে। প্রকৃতির ভিন্নরূপও দেখা মিলছে। আর ওয়াটার বাইকে করে নীল জলরাশি দেখতে যাবার মজাও আলাদা।
মানিকগঞ্জ থেকে আসা বিটন বিশ্বাস বলেন, শীতকালে কক্সবাজারে ঘুরে বেড়াতে খুব ভালো লাগে। তাই সাপ্তাহিক ছুটির দিনকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারে আসা। এখানে ঘোড়ার পিঠে চড়া, ছবি তোলা ও নোনাজলে গোসল করার মজাই অন্যরকম। পর্যটকরা সৈকতে ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি ছুটছেন বার্মিজ পণ্য ও শামুক-ঝিনুকের দোকানগুলোতে। কিনছেন আচার, স্যান্ডেলসহ হরেক রকমের পণ্য।
সুগন্ধা পয়েন্টে বার্মিজ পণ্য ক্রয় করছেন ঢাকার মতিঝিল থেকে আসা খালেক দম্পতি বলেন, কক্সবাজারে এসেছি অনেক আত্মীয় স্বজন জানে। তাদের আবদার ছিল বার্মিজ আচার ও কিছু ঝিনুকের মালা নিয়ে যেতে হবে। তাই আচার ও মালাগুলো ক্রয় করছি। তবে তুলনামূলকভাবে দাম একটু বেশি হলেও ভালো লেগেছে।
এদিকে সৈকতের প্রবেশদ্বারগুলোতে গাড়ি রাখা হচ্ছে যত্রতত্রভাবে। গাড়ি পার্কিংয়ের স্থান নির্ধারণ করে দিলেও মানছেন না চালকরা। যার কারণে প্রবেশদ্বারগুলোতে চলাফেরায় বিপাকে পড়ছেন পর্যটকরা।
এখানে বেড়াতে আসা পর্যটক মোঃ ইউনুছ বলেন, সৈকতের প্রবেশদ্বার গাড়িতে এতে এলোমেলো খুবই বাজে অবস্থা। চলাফেরা করতে চালকদের সঙ্গে তর্ক করতে হচ্ছে। এটা আসলে মেনে নেয়া যায় না।
মিশুক চালক ছুরুত আলম বলেন, গাড়ি শুধু আমি রাখেনি। সবাই এভাবে এলোমেলোভাবে রাখছে। কারণ আমি নির্দেশনা মানলেও অন্যরা মানে না। তাই আমিও মানছি না। পর্যটন মৌসুমে পর্যটকদের নিরাপত্তা ও হয়রানি রোধে সার্বক্ষনিক মাঠে রয়েছে জেলা প্রশাসন সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
দৈ. বার্তা সরণি / একে/ বিজন