দুদিন আগেই পতন ঘটেছে সিরিয়ান স্বৈরশাসক বাশার আল আসাদের। আসাদ শাসনের পতনের পর দেশটিতে একের পর এক ভয়াবহ নির্যাতনের চিত্র প্রকাশ পাচ্ছে। বিদ্রোহীদের দমন করতে আসাদ প্রশাসন যে নির্যাতনমূলক বন্দিশালা পরিচালনা করত, তার প্রকৃতি ছিল অমানবিক। কদিন আগে বাংলাদেশের স্বৈরশাসক হাসিনার পতনের পরেও এমন বন্দিশালার দেখা মেলে, যা আয়নাঘর নামে পরিচিত। তবে কি সকল স্বৈরশাসকদের ক্ষমতার উৎস এই আয়নাঘর ?
রয়টার্সের বরাতে জাতিসংঘের সিরিয়া কমিশনের সমন্বয়ক লিনিয়া আর্ভিডসন জানিয়েছেন, ২০১১ সাল থেকেই জাতিসংঘ সিরিয়ার বন্দিশালা নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে। তবে এবার প্রথমবারের মতো তাদের সরাসরি এসব বন্দিশালায় প্রবেশের সুযোগ হয়েছে।
লিনিয়া বলেন, 'বন্দিশালাগুলো মূলত আন্ডারগ্রাউন্ডে অবস্থিত, যেখানে কোনো জানালা নেই। বন্দিরা সূর্যের আলো না দেখেই বছরের পর বছর, কখনো কখনো দশকের পর দশক কাটিয়েছে। সাবেক বন্দিদের কাছ থেকে পাওয়া বর্ণনার সঙ্গে বাস্তবের মিল পাওয়া গেছে।'
এসব বন্দিশালায় বন্দিদের ওপর চালানো হতো নির্মম নির্যাতন। জাতিসংঘের তদন্তে উঠে এসেছে, এই বন্দিশালাগুলোর চিত্র ভয়াবহ হলেও আসাদের শাসন পদ্ধতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠী এইচটিএসের (হায়াত তাহরির আল-শাম) প্রধান জানিয়েছেন, বাশার আল-আসাদের শাসনামলে যারা নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাদের চিহ্নিত করা হবে। এ বিষয়ে তথ্য দিলে পুরস্কারেরও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ায় একাধিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা প্রকাশ পাচ্ছে। বন্দিশালাগুলোতে যে ধরনের বর্বরতা ঘটেছে, তা দেশটির জনগণের ওপর দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা নিপীড়নের একটি অংশ।
জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো আসাদ প্রশাসনের সময়কালের মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায় নিরূপণ এবং সংশ্লিষ্টদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানাচ্ছে।
দৈ. বার্তা সরণি/ সাধ