শাড়ির পর এবার ভারতীয় বিছানার চাদর আগুনে দিয়ে পোড়ালেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহীর ভুবন মোহন পার্কে দেশীয় পণ্য কিনে হও ধন্য শীর্ষক অনুষ্ঠানের বিছানার চাদর আগুন দিয়ে পোড়ানো হয়।
এর আগে গত (৫ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সাধারণ চিকিৎসক সমাজের উদ্যোগে ‘দেশীয় পণ্য কিনে হও ধন্য’ ব্যানারে ভারতীয় পণ্য বর্জন ও দেশি পণ্য ব্যবহারে উৎসাহিত করতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নিজের স্ত্রীর ভারতীয় শাড়ি আগুন দিয়ে পোড়ান রিজভী।
এ সময় তার সঙ্গে নেতাকর্মী ও সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।
রাজশাহীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
এ সময় ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে রাজস্থানের জয়পুর টেক্সটাইলের একটি বিছানার চাদর ছুড়ে ফেলেন তিনি।
এরপর দলীয় নেতাকর্মীরা কেরোসিন ঢেলে সেটিতে আগুন জ্বালিয়ে দেন।
পরে রুহুল কবির রিজভী ঘোষণা দেন, এখানে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা কিছু কাপড় এনেছেন। স্বল্পমূল্যে এগুলো বিক্রি করা হবে।
এরপর সেসব কাপড় বিক্রি করা হয়। সেখানে ২০০ টাকায় শাড়ি ও ১০০ টাকায় লুঙ্গি বিক্রি করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমরা ভারতের পণ্য বর্জন করছি। তারা এই দেশের মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে না। তাদের বন্ধুত্ব শুধু শেখ হাসিনার সঙ্গে।
তিনি বলেন, আমাদের টাঙ্গাইলের শাড়ি, কুমারখালীর লুঙ্গি-গামছা সারা পৃথিবীতে এক্সপোর্ট হয়। আমাদের জামদানি শাড়ি, তাঁতের শাড়ি, রাজশাহীর সিল্ক পৃথিবী বিখ্যাত।
এখনো বিয়েশাদি হলে রাজশাহীর সিল্ক পরিধান করি। তাহলে কেন এ দেশের মহিলারা ভারতীয় শাড়ি কিনবে? কিনতে আপত্তি নেই।
কিন্তু তারা যখন আমাদের উপহাস করে, তখন আমরা কেন কিনব? কেন আমরা মুখাপেক্ষী থাকব? আমরা মুখাপেক্ষী থাকব না।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈশা।
উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বিশ্বনাথ সরকার, মহানগরের সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ, যুগ্ম আহ্বায়ক আসলাম সরকার, ওয়ালিউর রহমান রানা প্রমুখ।
দৈ. বার্তা সরণি/ সাম্য