কর্তৃত্ববাদী শাসক বাশার আল আসাদের পতনের পর নতুন দিনের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন সিরিয়ান নাগরিকেরা। এরইমধ্যে দেশটির শরণার্থীদের জন্য সুখবর দিয়েছেন তুর্কী প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। তাকে এই অভ্যুত্থানের ‘অন্যতম নায়ক’ বলে প্রচার করছে বিভিন্ন গণমাধ্যম। খবর ডেইলি সাবাহর।
এরদোগান বলেন, সিরিয়ান শরণার্থীদের নিরাপদে দেশে ফেরাতে দক্ষিণের সীমান্তবর্তী গেট খুলে দিবে তুরস্ক। প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পলায়নের পর লাখ লাখ শরণার্থীকে নিরাপদ ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তনের সুযোগ দিতে এ পদক্ষেপ। আমরা ইতোমধ্যে ইয়াইলাদাগি সীমান্ত খুলে দিয়েছি। এর ফলে সীমান্তে ভিড় এড়ানো যাবে এবং চলাচল সহজ হবে। ২০১৩ সাল থেকে সীমান্তের কাছে যুদ্ধের কারণে এ গেট বন্ধ ছিল।
রাজধানী আঙ্কারায় মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে তুর্কী প্রেসিডেন্ট বলেন, সিরিয়াকে পুনর্গঠনে যেকোনো ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত তুরস্ক। দেশটিতে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর রাজধানী দামেস্ক দখলের মাধ্যমে ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধের অবসান হয়েছে। বর্তমানে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ রাশিয়ার পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। তার এ পতনকে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে বড় ধরনের পটপরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এরদোয়ান বলেন, পরিবর্তনের এ হাওয়া সব সিরিয়ানদের বিশেষ করে শরণার্থীদের জন্য উপকারী হবে। রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলে স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তন বাড়বে এবং স্বদেশের জন্য সিরিয়ানদের ১৩ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটবে।
এর আগে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান দেশটিতে বসবাসরত সিরিয়ান শরণার্থীদের দেশে ফেরাতে কাজ করার কথা জানান। পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যভুক্ত এ দেশটিতে প্রায় ৩০ লাখ সিরিয়ান শরণার্থী রয়েছেন। ২০১১ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হলে দেশটিতে পালিয়ে আশ্রয় নেন তারা।
দৈ. বার্তা সরণি/ আফরোজা