দুর্নীতি দমন কমিশননের (দুদক) মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেছেন, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে এপর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা,অস্ট্রেলিয়া, সুইজাল্যান্ড, সিংগাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাইসহ বিশের বিভিন্ন দেশে ৭১টি মিউচ্যুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট রিকোয়েস্ট (এমএলএআর) পাঠানো হয়েছে। এরমধ্যে ২৭টি এমএলএআরের বিষয়ে জবাব পেয়েছে দুদক।
আজ মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুরে সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ, সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন ছাড়া কমিশনের প্রতিরোধ, মানি লন্ডারিং ও গোয়েন্দা শাখার শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ওই বৈঠক শেষে দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এসময় বৈঠকের বিস্তারিত তুলে ধরে দুদকের উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম বলেন, আজ মঙ্গলবার দুদকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দুদক কর্মকর্তা বলেন, ইইউ প্রতিনিধিদলের সদস্যরা হলেন- ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন মিচে ক্রিজা, প্রোগ্রাম ম্যানেজার অব ইনক্লুসিভ গভর্ন্যান্স পাবলো পাদিন, মিস নাদের তানিজা ও কিশোয়ার আমিন।
তিনি বলেন, দুদকের শীর্ষ কর্মকর্তারা সভায় কমিশনের কার্যক্রম সম্পর্কে প্রতিনিধিদলকে অবহিত করেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের সক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ করে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ও পাচার সম্পদ পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদল তাদের পক্ষ থেকে দুদককে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।
দুদক সূত্রে জানা যায়, সভায় দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যক্রম সম্পর্কে প্রতিনিধি দলকে অবহিত করা হয়। এছাড়া, দুর্নীতি দমন কমিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ করে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ ও পাচারকৃত সম্পদ পুনরুদ্ধারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল তাদের পক্ষ থেকে দুর্নীতি দমন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই), ইউনাইটেড ন্যাশনস অফিস ফর ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম (ইউএনওডিসি), বিশ্বব্যাংক ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) ধারাবাহিকভাবে দুদকের সঙ্গে পাচারকৃত অর্থ ফেরতসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সভা করেছে।
বৈঠকগুলোতে গুরুত্ব পেয়েছিল দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্ত, বিশেষ করে মানিলন্ডারিং, সাইবার ক্রাইম, আর্থিক লেনদেনের তদন্তের ক্ষেত্রে ফরেনসিক অ্যানালাইসিস, ট্রেডবেইজড, মানিলন্ডারিং, অপরাধীদের জিজ্ঞাসাবাদের কৌশল, সম্পদ পুনরুদ্ধার, তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে সংঘটিত আর্থিক ক্রাইম, মিউচ্যুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স, তথ্য বিনিময়সহ বিভিন্ন ইস্যু।
দৈ. বার্তা সরণি / একে