খুঁটি সড়ানোর জন্য মূল্যে পরিশোধ, একাধিকবার নোটশ ও মৌখিকভাবে বলার পরেও খুঁটি না সরিয়ে উল্টো রাস্তার মাঝে ৩৩ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের লাইন স্থাপন করে চলছে নেসকো। রাস্তার মাঝ থেকে ড্রেন পর্যন্ত সকল ধরনের বৈদ্যুতিক খুঁটি অপসারণ করার জন্য সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে সর্বশেষ চলতি বছরের মে মাসের ১৯তারিখে খুঁটি সড়ানোর জন্য নোট দেয়। এর আগেও কয়েকবার নোটিশ ও মৌখিকভাবে অবগত করা হয়েছে বলে অফিসসূত্রে জানা গেছে। থেকে সর্বশেষ চলতি বছরের মে মাসের ১৯তারিখে খুঁটি সড়ানোর জন্য নোট দেয়। এর আগেও কয়েকবার নোটিশ ও মৌখিকভাবে অবগত করা হয়েছে বলে অফিসসূত্রে জানা গেছে।
গত সোমবার (১১ নভেম্বর ) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার মাঝে ৩৩ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের লাইনের খুঁটি তার সংযোজন করা হচ্ছে। এনিয়ে স্থানীয়দের মাঝে তীব্র আলোচনা দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের এসডি জাহিদুর রহমান বলেন, ৩৩ হাজার ভোল্টের বৈদ্যুতিক লাইনের খুঁটি অপসারণের জন্য আর্থিক মূল্যও পরিশোধ করা হয়েছে। কিন্তু নেসকো খুঁটিগুলো না সরিয়ে উল্টো রাস্তার মাঝেই খুঁটি বসিয়ে ৩৩ হাজার ভোল্টের বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থাপন করছে। যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী-১ আব্দুল্লাহ আল ফারুক জানান, অপসারণ বিষয়ে কোনো কথা হয়নি। সড়ক বিভাগ থেকে আমাদের জায়গা দেখানো হয়েছে, আমরা সেখানেই লাইন স্থাপন করছি। যদি সমস্যা হয় তাহলে তাদের সাথে বসতে হবে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, সিরাজগঞ্জবাসীর স্বপ্নের ৪ লেন মহাসড়ক নির্মাণ কাজে দীর্ঘদিন স্থবির হয়ে পড়ে ছিল । মেয়াদ শেষ হলেও ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় শহরের মূল অংশে রাস্তাটির প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে ছিল । অবশেষে সেই কাজের ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা নিরসন করে প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়ায় প্রায় ৪ শ কোটি টাকা। সড়ক ও জনপথ বিভাগ সেই রাস্তার মাঝেই নেসকোর ৩৩ হাজার বিদ্যুতের লাইন জন্য খুঁটি স্থাপন করা হচ্ছে। আরও জানা যায়, পাবনার ইমা কনেষ্টকশন নামের এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই বৈদ্যুতিক লাইন নির্মাণের কাজ করছে। যা ২১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে তিনটি প্যাকেজের মধ্যে ৭ কিলোমিটার করে দুই লেন, আর শহরের কাটাওয়াবদা থেকে চন্ডিদাসগাঁতী পর্যন্ত ৬.৬ কিলোমিটার চার লেন মহাসড়ক। এর মধ্যে ২ লেন মহাসড়কগুলো ৯.৭ মিটার প্রশস্থ এবং ৪ লেন মহাসড়টির প্রস্থ হবে ১৮ মিটার।
৪ লেন সড়কের ২ পাশের রাস্তার প্রস্থ ৭.৩ মিটার করে, মাঝখানে আইল্যান্ড ১ মিটার ও ২ পাশে ফুটপাথ কাম ড্রেন ১.২ মিটার। তিন প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ২৬৪ কোটি টাকা এবং জমি অধিগ্রহণ ব্যয় হয়েছে ১শ ৪৫ কোটি টাকা। সর্ব মোট প্রায় ৪শ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে এই প্রকল্পটির কাজ । ২০২০ বছর ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার কথা ছিল, জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে ছিল কাজটি। অবশেষে জমি অধিগ্রহণ শেষে রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তূর্ণা এন্টারপ্রাইজ। চলমান এবং সেই সড়কের মূল রাস্তায় নেসকোর বিদ্যুতের খুঁটি স্থাপন করা হচ্ছে।
দৈ. বার্তা সরণি / একে/ নজরুল