অবশেষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলামকে নিয়ে করা বক্তব্য প্রত্যাহার করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। আজ শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) তাজুল ইসলাম বলেন, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর এসেছিলেন। তিনি তার বক্তব্য প্রত্যাহার করেছেন এবং দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
ট্রাইব্যুনাল থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের সাথে আলোচনা হয়েছে। তিনি গতকাল ট্রাইবুনালের সামনে প্রদত্ত বক্তব্য প্রত্যাহার করেছেন এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের কার্যক্রমে রাজনৈতিক দল হিসেবে পূর্ণ সহযোগিতা আশ্বাস ব্যক্ত করেছেন।
এদিকে, সাবেক ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, গতকাল ১৪ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলামকে উদ্দেশ্য করে আমার বক্তব্যের তথ্যে বিভ্রাটে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় আমার বক্তব্য প্রত্যাহার করছি। চিফ প্রসিকিউটরের সাথে আলোচনায় বিষয়টি পরিষ্কার হওয়ায় গণহত্যার ন্যায়বিচার নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রমে আমাদের সমর্থন অব্যাহত থাকবে।
গতকাল রাতে ট্রাইব্যুনালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাসুদ রানার পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামকে নিয়ে গণ অধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা না চাইলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় গণ-অধিকার পরিষদ একাংশের সভাপতি জনাব নুরুল হক নুর এবং তার একদল সহযোগী ও বহিরাগত ব্যক্তিদের নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে উসকানিমূলক এবং মানহানিকর স্লোগান দিতে দিতে একটি মিছিল নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মূল প্রবেশ গেট দিয়ে জোরপূর্বক প্রবেশের চেষ্টা করেন। পরে ট্রাইব্যুনালের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বাধার মুখে ট্রাইব্যুনালে ঢুকতে না পেরে নুরুল হক নুর তার দলীয় কর্মীদের নিয়ে ট্রাইব্যুনালের গেটে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন, যেখানে তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির সাথে বৈঠকের ভিত্তিহীন, বানোয়াট, অসত্য এবং উসকানিমূলক কিছু অভিযোগ গণমাধ্যমে প্রকাশ করেন।
উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তার এ মিথ্যা অভিযোগ ইলেকট্রনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে যায়। নুরুল হক নুরের এই বক্তব্যের ফলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং চিফ প্রসিকিউটর জনাব মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের মর্যাদা ব্যাপকভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছে।
দৈনিক বার্তা সরণি/ কাশেম