শামুক শব্দটিই সাধারণত ধীরে চলা এক প্রাণীর কথা মনে করিয়ে দেয়। সৌরশামুক একেবারে ভিন্ন ব্যাপার। প্রথম দেখায় বোঝা দায়—এটা পাতা না অন্য কিছু। আর এর বিশেষত্ব জানলে আপনার চোখ কপালে উঠবে।
জানলে অবাক হবেন এই শামুকটি নাকি সূর্যের আলো থেকে খাদ্য তৈরি করতে পারে! ঠিক যেমন গাছপালা করে। কিন্তু একটা শামুকের মধ্যে এমন ক্ষমতা এল কীভাবে? আসলে রহস্যের চাবিকাঠি লুকিয়ে আছে এদের খাদ্যাভ্যাসে। সৌরশামুক শৈবাল খায়। আর সেই শৈবালের দেহে থাকা ক্লোরোপ্লাস্ট নিজের দেহে জমা করে রাখে। গাছ যেমন সূর্যের আলো কাজে লাগিয়ে ক্লোরোপ্লাস্ট দিয়ে খাদ্য তৈরি করে, ঠিক তেমনভাবেই এই শামুক ‘সোলার পাওয়ার’ দিয়ে নিজের শক্তি যোগায়।
আর মজার ব্যাপার হলো, শামুকের নিজের দেহে কোনো ক্লোরোপ্লাস্ট থাকে না। কিন্তু শৈবাল থেকে সংগ্রহ করা ক্লোরোপ্লাস্ট যত্ন করে নিজের শরীরে রেখে দেয়। যখন খাবারের অভাব পড়ে, তখন সূর্যের আলো কাজে লাগিয়ে সেই ক্লোরোপ্লাস্ট দিয়ে খাদ্য তৈরি করে। তাই একে বলা যায় প্রকৃতির ‘সোলার-পাওয়ারড সুপারশামুক’!
ভাবুন তো, একটা শামুকের যদি এমন ক্ষমতা থাকে, তাহলে প্রকৃতি আসলে কত বিস্ময়কর! সৌরশামুক শুধু জীববিজ্ঞানের একটি চমকই নয়, বরং এটি আমাদের শেখায়, প্রকৃতির প্রতিটি প্রাণী কোনো না কোনোভাবে অনন্য।
তাহলে কী বলবেন, সৌরশামুকের মতো গুণ যদি আপনার থাকত, তবে কেমন হতো? সূর্যের আলোয় বসে বসে ক্ষুধা মেটানো—এটাই কি আসল সুপারপাওয়ার নয়?
দৈ. বার্তা সরণি/ সাম্য