বন্যার অযুহাতে সবজির দাম বাড়তি থাকার পর মাঝে কিছুটা কমলেও আবারও মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে সবজির দাম। বাজারে ৮০ টাকার কোটাতিই আটকে আছে বেশিরভাগ সবজির দাম। অন্যদিকে আগের মতো বাড়তি মাছের মূল্য।
শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে সরেজমিনে মিলেছে এমন চিত্র।
বাজারের সবচাইতে দামি সবজির তালিকায়ে আছে প্রতি কেজি ১৮০ টাকা দরের গাজর । দ্বিতীয়তে টমেটো ১৬০ টাকা কেজি। তৃতীয় শিম কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। গোল বেগুন, কাঁকরোলের দমি ১০০ টাকা। অপরিহার্য কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকা কেজি।
এছাড়া রাজধানীর এলাকার বাজারে করোল্লা ও বরবটি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা-ঝিঙা ও বেগুন প্রতি কেজি ৬০ টাকা, কচুর লতির কেজি ৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৭০ টাকা, মুলা-ধুন্দুল কচুর মুখি ৬০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৫০ টাকায় আর পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে । ছোট সাইজের ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতি পিস ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে সবজির দাম বিষয়ে মিরপুর কালাপানি বাজারের ক্রেতা বেসরকারি চাকরিজীবী গিাড়ি চালক আলমগীর হোসেন বলেন, সবজির দাম কমছে বললেও বাজারের কাহিনী উল্টো। এসে দেখি সবগুলোর দামই বাড়তি। তিন সপ্তাহ আগের চাইতে গড়ে কমছে ২০টাকা। এখন তো বন্যা নাই । এখন কি সমস্যা?
বিক্রেতা মন্টু বলেন, দুই তিন সপ্তাহ আগে চাইতে দাম তো কমই। জানান, সবজির মৌসুম এখন শেষের দিকে, শীত পড়লে নতুন সবজি উঠবো, দাম কমবো।
অন্যদিকে মাছের দাম সব বাজারেই বাড়তি। বাজারে প্রতি কেজি গুলসা ও ট্যাংরা প্রতি কেজি ৬০০ টাকা , শিং ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, কাতল ৩২০ থেকে ৩৮০ টাকা, চাষের কই ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরীবের মাছ হয়ে উঠেছে পাঙাশ। বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়।
এছাড়া রূপচাঁদা ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা, চিংড়ি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বোয়াল প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর পাবদা প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, রুই ৩৬০ টাকা ও সরপুঁটি ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এমআই