যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে পুলিশের গুলিতে হোসেন আল রাজী (১৯) নামে এক বাংলাদেশি আমেরিকান যুবক নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বেলা ১টা ৪৫ মিনিটে ওয়ারেন শহরের রায়ান সড়কের এলিভেন মাইলের গারবর স্ট্রিটে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশের দাবি, আল রাজী পুলিশকে লক্ষ্য করে অস্ত্র প্রদর্শন করলে আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায় পুলিশ।
আল রাজীর বাবা মোহাম্মদ আতিক হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অস্বাভাবিক আচরণ করায় জরুরি সেবা ৯১১ এ কল দেওয়া হয়। তবে পুলিশ তাকে গুলি করে মেরে ফেলুক এটি আমরা চাইনি।
জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে নিজের ঘরে মা-বাবাসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করেন আল রাজী। তার এমন আচরণে পরিবারের সদস্যরা ভয় পেয়ে যান। একপর্যায়ে তার মা-বাবাসহ পরিবারের বাকি সদস্যরা গাড়ির গ্যারেজে আশ্রয় নেন। ঘটনাস্থলে এসে যুবকটির হাতে অস্ত্র দেখা যায়। সেটি ফেলে দিয়ে আত্মসমর্পণ করতে বলে পুলিশ। কিন্তু ওই যুবক এতে কর্ণপাত করেননি। একপর্যায়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে অস্ত্র প্রদর্শন করলে আত্মরক্ষার্থে পুলিশ গুলি চালায়। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই যুবককে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার তদন্ত চলছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ওয়ারেন পুলিশ অফিসার ক্যাপ্টেন ছ্যারলেস রোশটন।
নিহত আল রাজীর বাবা আতিক হোসেন বলেন, শুক্রবার আল রাজীসহ তারা এক সঙ্গে ঘরের মধ্যে জুম্মার নামাজ পড়েছেন। পরে তার ছেলে আল রাজী পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকে। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে অ্যাম্বুলেন্সের জন্য ৯১১ এ কল দেওয়া হয়। কিন্তু পুলিশ এসে গুলি করে আমার ছেলেকে মেরে ফেলুক এটি আমরা চাইনি।
ওফা