দলিল জালিয়াতিতে অভিযুক্ত চকরিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। চকরিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক ফরিদুল ইসলাম, জাল দলিল তৈরির হোতা আবদুল হামিদ, জাবেদ আমিন, মানিকপুর এলাকার লামং রাখাইন ও উপচিং রাখাইনের নামে রবিবার চকরিয়া সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এই গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করে।
বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট মিফতাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, চকরিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দীর্ঘদিন ধরে কিছু প্রতারক চক্র জাল দলিল তৈরি করে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছে। এমন একটা জাল দলিল সনাক্ত হলে গত ১৭ অক্টোবর ২০২৩ দলিল লেখক কাজল বড়ুয়া বাদী হয়ে উক্ত দলিলের গ্রহীতা লামং রাখাইন ও উপছিং রাখাইনের বিরুদ্ধে চকরিয়া সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন।
মামলাটি কক্সবাজারের সিআইডি পুলিশ দীর্ঘদিন তদন্ত শেষে চকরিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক ফরিদুল ইসলাম, তার সহকারী আবদুল হামিদ, মানিকপুর এলাকার জাবেদ আমিন, লামং রাখাইন ও উপচিং রাখাইনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। আদালত প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে রবিবার ২৭ অক্টোবর উল্লেখিত ৫ জনের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে দলিল লেখক ফরিদুল ইসলাম জাল দলিল তৈরি চক্রের সাথে জড়িত নয় উল্লেখ করে বলেন, আমার অফিসের সহকারী আবদুল হামিদ আমার সিল দিয়ে ওই নকল দলিল তৈরি করেছিল। বিষয়টি তিনি আইনগতভাবে মোকাবিলা করবেন বলে জানান।
চকরিয়া দলিল লেখক সমিতির সভাপতি জাকির হোসেন ও সম্পাদক শরিফুল ইসলাম জানান, যারা জাল দলিল তৈরি করে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে, ওই চক্রের সাথে জড়িতেেদর আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।
এবিষয়ে জানতে চাইলে চকরিয়ার সাব-রেজিস্ট্রিার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, যারা জাল দলিল তৈরি করে মানুষের সাথে প্রতারণা করে তারা দেশ ও জাতির শত্রু। ওই প্রতারক চক্র সনাক্ত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ এবং এই চক্রের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনগত ভাবে শাস্তির দাবি জানান তিনি।
দৈ. বার্তা সরণি / একে /বিজন কুমার