বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি বৃহস্পতিবার সকাল ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’য় পরিণত হলেও কক্সবাজারে এখনো কোনো প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে না। সমুদ্র সৈকতজুড়ে পর্যটকদের স্বাভাবিক উপস্থিতি অব্যাহত রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সোমবার ও মঙ্গলবার হাল্কা বৃষ্টিপাত হলেও আজ বুধবার (২৩ অক্টোবর) বিকাল ৩টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়নি। তবে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কতা সংকেত নামিয়ে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ঘূর্ণিঝড় দানা ভারতের উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গের দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এটি উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
তবে এটি একদম প্রাথমিক তথ্য বলে জানায় সংস্থাটি। তারা বলছে,যেকোনো সময় এটির গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে।
সৈকতের বিচকর্মীদের সুপারভাইজার বেলাল হোসেন বলেন, সকাল থেকে কক্সবাজার,হিমছড়ি, ইনানী,পাটুয়ারটেক পর্যন্ত ঘুরেছি। সবখানেই পর্যটকের কোলাহলে মুখর। এখন পর্যন্ত কোনো প্রভাব দেখা যাচ্ছে না।
একই কথা বলেছেন সাগরপাড়ে বসবাসরত মানুষজন। কক্সবাজার সৈকতঘেষা সমিতি পাড়ায় বসবাস করেন বৃদ্ধ আবুল কাশেম (৭০)। তিনি বলেন, সাগরের পাড়ে থাকতে থাকতে একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় বা যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হানার মতো হলেও আগেই আমরা আঁচ করতে পারি। কোন ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানবে কোনটি হানবে না আমরা সাগরের গর্জন,বাতাসের তীব্রতা দেখলেই বুঝতে পারি। এখন পর্যন্ত সেরকম কোনোকিছু দেখা যাচ্ছে না। আমার মনে হচ্ছে এটি কক্সবাজার আঘাত হানবে না।
দৈ. বার্তা সরণি/ একে/ বিজন কুমার